- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী পুনর্বাসনে মত্ত গিয়াস উদ্দিন

- আপডেটেড: সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫
- / পঠিত : ১৭ বার
: নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, গিয়াস উদ্দিন পতিত আওয়ামী লীগের শাসনামলে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সান্নিধ্যে থেকে সাংগঠনিকভাবে নিজে যেমন বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন তেমনি শামীম ওসমান ও আইভী পরিবারকে বিলিয়ে দিয়েছেন হৃদয়ের সুপ্ত ভালোবাসা। ফলে গিয়াস উদ্দিনকে প্রকাশ্যেই আইভী ও শামীম ওসমানের হয়ে কাজ করতে দেখা গেছে। বিনিময়ে গিয়াস পুত্র সাদরিল ছিলেন আইভীর মনোনীত এবং রাতের ভোটের কাউন্সিলর।
সামাজিক মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিগতদিনে ১৫ আগস্টে শোক দিবস পালনসহ আইভী ও শামীম ওসমানের হয়ে নৌকার ভোট চাওয়া থেকে এমনকি বিজয় উদযাপনে তাকে মিষ্টিমুখ করতেও দেখা গেছে। এ বিষয়ে তখন থেকেই চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিলো দলের অভ্যন্তরে। যা এখন রীতিমতো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দখল, চাঁদাবাজিসহ মিথ্যা মামলা বাণিজ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানির মতো জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পরেন গিয়াস উদ্দিন ও তার শিবিরের নেতা-কর্মীরা। সেই সাথে তার মূল বাণিজ্য হয়ে উঠে অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী পুনর্বাসন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহত এক যুবক বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে গিয়াস উদ্দিনের অপকর্মের বিবরণ দিয়ে বলেন, চার কোটি-সাড়ে চার কোটি টাকায় আওয়ামী পুনর্বাসন করছে গিয়াস উদ্দিন।
এছাড়াও এমন বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পরলে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ পত্রের শিরোনামে উঠে আসেন গিয়াস উদ্দিন। তা জানাজানি হয়ে গেলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটি ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। এতে সভাপতির পদ হারিয়ে খানিকটা বিপাকে পরলেও চরিত্র বদলায়নি গিয়াস উদ্দিনের। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এখনো তিনি নিজের আখের গোছাচ্ছেন নিভৃতে নীরবে। এরমধ্যে বিএনপি পুনরায় জেলা কমিটি ঘোষণা করে এবং সেখানে জায়গা হয় গিয়াসের। এতে যেন আগুনে তেল ঢালার মতো অবস্থা। ফলে আবারও তেঁতে উঠেছে গিয়াস শিবির।
সম্প্রতি জেলার ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বিল্লাল খানের দাওয়াতে উপস্থিত হয় গিয়াস উদ্দিন। এ সময় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুকে সঙ্গে নিয়ে এক টেবিলে বসে ইফতার করেন গিয়াস উদ্দিন। একই দিন ইফতার শেষে মঞ্জুসহ স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের পুনর্বাসন এবং তাদের দলে যুক্ত করে নিজের দল ভারি করতে এক গোপন বৈঠক করেন গিয়াস উদ্দিন। এ সময় বৈঠকে তার সঙ্গে ছিলেন বিল্লাল খান ও ফতুল্লা থানা কৃষক দল নেতা নাছির প্রধান।
কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের ৫ নেতা তাদের তাদের নাম প্রকাশে অনীহা জানিয়ে বলেন, গিয়াস উদ্দিন বিগত আন্দোলন সংগ্রামে এই অঞ্চলের নেতা-কর্মীদের খোঁজ না নিলেও ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে পরেন। কুতুবপুর ইউনিয়ন এক সময়ের বিতর্কিত সভাপতি জাহাঙ্গির আলম জয় ও ইসমাইল হোসেন রিপন গংদের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন গিয়াস উদ্দিন। তিনি আগে যেমন প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছেন এবার যেন ভোল পাল্টে গোপনে কাজ করছেন। গিয়াস উদ্দিন টাকার বিনিময়ে এই অঞ্চলের অন্তত কয়েক ডজন আওয়ামী নেতাকে পুনর্বাসন করেছেন। যা আমকাদের সাংগঠনিক শক্তিকে দুর্বল করে তুলছে।
তারা আরও জানায়, এই এলাকায় গিয়াস উদ্দিনের পক্ষের নেতা-কর্মীর সংখ্যা নগন্ন বলে দল ভারী করতে তিনি পুরোনো সন্ত্রাসীদের জায়গা করে দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের পর সাংগঠনিক কোনো কাজে দেখা যায়নি জাহাঙ্গির আলম জয় ও ইসমাইল হোসেন রিপন গংদের। তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী। এটা এখানকার সবাই জানে এবং ফতুল্লা থানায় তাদের মামলার রেকর্ড দেখলেই এই কথার সত্যতা বা প্রমাণ মিলবে। এরা আগেও গিয়াস উদ্দিনের হয়ে কাজ করেছে। দীর্ঘ সময় পর গিয়াস উদ্দিন এখন আবার এলাকায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে মূলত সন্ত্রাসের পুনর্বাসন করছেন।
জানা গেছে, গিয়াস উদ্দিন তার আরেক সৈনিক ফয়সাল খান স্বপনের মাধ্যমেও ছাত্রলীগের অনেককে পুনর্বাসন করেছেন। যা নিয়ে ইতঃপূর্বেও একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ও থানা পর্যায়ের যুবদল ও ছাত্রদলের একাধিক নেতা বলেন, গিয়াস উদ্দিনেরা এমন করতে থাকলে দল থেকে ত্যাগীরা হারিয়ে যাবে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গিয়াস উদ্দিনরা থাকবে সুবিধার স্রোতে। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর আজ যে আশার আলো ফুটেছে সামান্য কিছু মানুষের জন্য তা যেন বিনষ্ট না হয় সেদিকে নজর দিতে দলীয় হাই কমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার