আজঃ শুক্রবার ১৮-০৪-২০২৫ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

খাবার নিয়ে বিতণ্ডা: ইউএনওর সামনেই ৩ কর্মচারীকে পেটালেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / পঠিত : ১০ বার

খাবার নিয়ে বিতণ্ডা: ইউএনওর সামনেই ৩ কর্মচারীকে পেটালেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

: দিনাজপুরের বিরামপুরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে খাবার নিয়ে বিতণ্ডার জেরে উপজেলা পরিষদের তিন কর্মচারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের মুক্তমঞ্চ এলাকায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিঞা শফিকুল আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন।

আহতরা হলেন উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক এমদাদুল হক, আবু হোসেন এবং ইউএনও কার্যালয়ের নিরাপত্তাপ্রহরী মমিনুল ইসলাম ওরফে রনি। এদের মধ্যে এমদাদুল হক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনীম আওন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের ভেতর মুক্তমঞ্চে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানের ফাঁকে উপজেলা পরিষদ ও ইউএনওর কয়েকজন কর্মচারী আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য পান্তাভাত, মাছ, ভর্তা ও পানি বিতরণ করছিলেন। এসময় খাবার নিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের পৌর সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল ও তার সহযোগীদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনেই বেধড়ক পিটিয়ে ওই তিনজনকে আহত করেন তারা।

ইউএনও কার্যালয়ের নিরাপত্তাপ্রহরী মমিনুল ইসলাম ওরফে রনি বলেন, ‘আজ সুন্দর পরিবেশে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলছিল। এর ফাঁকে অতিথিদের জন্য পান্তা উৎসব শুরু করার জন্য আমরা কয়েকজন নিয়োজিত ছিলাম। আমাদের কাজের ফাঁকে বিএনপির পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রাসেল নিজেই খাবার নিতে শুরু করেন। আমরা বাধা দিলে তারা আমাদের পিটিয়ে আহত করেন।’

অনুষ্ঠানের সামনের অংশে আমরা ছিলাম আর ঘটনা আমাদের থেকে অনেক দূরে উল্লেখ করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল বলেন, এমন একটি অনুষ্ঠানে এই আচরণ করা মোটেও ঠিক হয়নি। এমন আচরণের পর আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে এসেছি।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা উপজেলা বিএনপির দায়িত্বে রয়েছি আর ওরা পৌর কমিটির। তারপরও নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিঞা মো. শফিকুল আলম মামুন বলেন, ‘আমার সামনে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

বিরামপুর থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিরামপুর ইউএনও নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে হাজার লোকের আয়োজন ছিল। এমন ঘটনা ঠিক হয়নি। আহত তিন কর্মচারীকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba