আজঃ বৃহস্পতিবার ০৮-০৫-২০২৫ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

হামাসের বন্দিদশা থেকে ফিরে নিজ বাসায় ‘ধর্ষণের শিকার’ ইসরায়েলি তরুণী

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫
  • / পঠিত : ১১ বার

হামাসের বন্দিদশা থেকে ফিরে নিজ বাসায় ‘ধর্ষণের শিকার’ ইসরায়েলি তরুণী

এসবিনিউজবিডি ডেস্ক: ‌হামাসের জিম্মিদশা থেকে ফিরে তেল আবিবে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ইসরায়েলি তরুণী মিয়া শেম। হামাসের হাতে বন্দী থাকার সময় মিয়া শেম ধর্ষণের শিকার হওয়ার আতঙ্কে থাকতেন। কিন্তু তাঁকে যে নিজ বাড়িতে এমন ঘটনার শিকার হতে হবে, তা তাঁর কল্পনারও বাইরে ছিল।

ইসরায়েলের দৈনিক পত্রিকা হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মিয়া তেল আবিবের একজন সুপরিচিত ফিটনেস ট্রেইনারের বিরুদ্ধে তাঁকে মাদক দেওয়ার ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। মিয়া এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মার্চের শেষ দিকে ওই ট্রেইনারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (৩ মে) রাতে মিয়া শেম ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল-১২–তে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি নিজ অ্যাপার্টমেন্টে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি সত্য প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লুকিয়ে থাকাদের দলে আমি নই।

মিয়া বলেন, সারা জীবন এটাই আমার সবচেয়ে বড় ভয় ছিল, জিম্মি হওয়ার আগে, জিম্মি থাকার সময়। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর যেখানে আমার সবচেয়ে নিরাপদ থাকার কথা, সেখানেই আমার সঙ্গে এটা ঘটেছে।’

ওই ঘটনার কয়েক দিন পর মিয়ার পরিবার ও বন্ধুরা খেয়াল করেন তিনি স্বাভাবিক আচরণ করছেন না বলে জানান তিনি।

মিয়ার মা কেরেন চ্যানেল-১২–কে বলেন, আমার মেয়ে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। সে জিম্মিদশা থেকে খুবই কঠিন শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে ফিরে এসেছিল। কিন্তু তারপরও তার অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। এখন আমি তার মধ্যে যে বিধ্বস্ত অবস্থা দেখছি, তাতে আমি সত্যিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

মিয়া যেদিন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করছেন, সেদিন বিকেলের ঘটনা তাঁর আবছা মনে আছে বলে জানান তিনি। এই তরুণী বলেন, প্রশিক্ষক যখন তাঁর কক্ষে প্রবেশ করেন, তখন তিনি বিবস্ত্র ছিলেন। ঘরে তিনি দ্বিতীয় আরেক ব্যক্তির উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন।

মিয়ার এক বন্ধু বলেন, সম্ভবত মিয়াকে মাদক দেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি পুলিশের কাছে যান এবং পুলিশ তাঁকে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার ব্যক্তিদের পরীক্ষা করা হয়, এমন একটি সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়।

হামাসের হাতে জিম্মি হওয়ার ৫৫ দিন পর মুক্তি পান মিয়া শেম। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথম যুদ্ধবিরতির সময় প্রায় ১০০ জিম্মি মুক্তি দিয়েছিল হামাস। সে সময় আহত মিয়াও মুক্তি পান।

তথ্যসূত্র: হারেৎজ

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba