- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
বিপর্যস্ত ভারতের অর্থনীতি, দেউলিয়া হবে মোদির দেশ?

- আপডেটেড: বুধবার ২১ মে ২০২৫
- / পঠিত : ৪ বার
এসবিনিউজবিডি ডেস্ক: কোথাও শান্তির লেশ টুকু নেই। দিল্লি থেকে কলকাতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে যেনো ধ্বংসের পথে ভারতের অর্থনীতি। যুদ্ধ মানেই যে ক্ষতি সেটি বোধহয় এবার বেশ হারে হারে টের পাচ্ছে কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী গুজরাটের কসাই খ্যাত মোদি। গত মাসে ঘটে যাওয়া এক কাশ্মীর হামলার রেশে চিরশত্রু পাকিস্তানকে কোন প্রমাণ ছাড়াই দায়ী করে কথিত প্রতিশোধের নামে দেশটির সাধারণ মুসলমানদের ওপর হামলা চালায় মোদির সেনারা। সেই অপারেশন সিঁদুরের ক্ষয়-ক্ষতি কিছুতেই যেনো কাটিয়ে উঠতে পারছে না মোদির সরকার। এর ওপর প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভারতের বৈরী সম্পর্ক যেনো দেশটিকে ধাবিত করছে দেউলিয়া হবার পথে।
শুধু কি পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ? প্রতিবেশী কোন দেশের সাথেই ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে ভালো নেই। মাঝেমধ্যেই সীমান্তে বিরাজ করে উত্তেজনা। আর মোদি সরকারের তো পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করার অভ্যাস বেশ পুরোনো। পুরোনো চাল ভাতে বাড়লেও মোদির পুরোনো সেই অভ্যসই এখন মরার উপর খাঁড়ার ঘা অবস্থা করেছে ভারতের। পাকিস্তানে বীরের মতো লড়াই করতে গিয়ে মুখ থুবরে পড়ে ভারতীয় সেনারা। হামলার প্রথম দিনই হারিয়ে বসে কমপক্ষে ৬-৬টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তার মধ্যে আবার রয়েছে ফ্রান্সের অপ্রতিরোধ্য রাফালও। আর পাকিস্তানের পাল্টা হামলার রেশে তো তছনছ পুরো ভারতীয় অর্থনীতি। অর্থনীতিতে সমৃদ্ধশালী একটি দেশকে যুদ্ধের ডামাডোলে কিভাবে ধ্বংশ করতে হয় তা যেনো শেখা উচিত মোদির কাছে।
এই যুদ্ধে অংশ নিতে গিয়ে ভারত যা হারিয়েছে তা কখনো ফিরে পাবার নয়। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএলও বন্ধ রাখতে হয় এই সংঘাতের রেশে। আইপিএল আবার মাঠে ফিরলেও নেই তাতে আগের মত উম্মাদনা। অনেক বিদেশী ক্রিকেটার আর ব্যাক করেননি এবারের আইপিএলে যার ফলে নতুন করে আবারো ক্ষতির মুখে ভারত। এই টুর্নামেন্টটি থেকেই দৈনিক ভারত হারিয়েছে প্রায় ১৩০ কোটি টাকারও বেশি।
এমনিতেই যুদ্ধে জড়িয়ে ভারতের সর্বসাকুল্যে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকা। শুধু যে এই পরিমাণ অর্থ হারিয়েছে ভারত তা নয়। হারিয়েছে অনেক অনেক বিদেশী বড় বড় বিনিয়োগ। দেশে আসা বন্ধ হয়েছে রেমিট্যান্স। অনেক বড় বড় তারকারা ভারত ছেড়ে অবস্থান নিয়েছেন অন্য কোন দেশে। আর ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশ সীমা বন্ধ থাকায়ও বেশ বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলো। সব মিলিয়ে ভারতের রিজার্ভের যেনো ১২টা বেজেছে এবার। আগেই রিজার্ভ ছিলো তলানীতে এবার যেনো তা স্পর্শ করেছে রেকর্ড। ভারতীয় মুদ্রার চরম দরপতন হয়েছে যা স্বরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয়।
এদিকে আবার বাংলাদেশের সাথেও মোদির জমছে না। তার প্রিয় মিত্র সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকেই বাংলাদেশের সাথে প্রায় সকল বাণিজ্য বন্ধ দেশটির। এর ফলে ভারত হারাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব। হাসিনা ভারতে পালানোর পর মোদির সরকার বাংলাদেশীদের জন্য বন্ধ করে দেয় ভারতের দরজা। রাজার মতো হুঙ্কার দিয়ে দরজা বন্ধ করে উল্টো বিপদে পড়ে ভারত, বাংলাদেশী পর্যটক আর রোগীর অভাবে যখন না খেয়ে মরার দশা ভারতীয়দের তখন আবার প্রজার মতো দরজা খুলে দিলেও লাভ হয়নি। কারণ তার আগেই চীন সুযোগের শতভাগ ব্যবহার করে বাংলাদেশের পর্যটক আর রোগীদের দিয়েছে রাজার সম্মান। তাই বাংলাদেশের মানুষ আর ভারতের প্রজার বেশ ধরতে রাজি নয়।
ভিন্নদিকে ভারত-বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে যার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারায় দেশটি। শুধু কি তাই বাংলাদেশও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ করলে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রজস্ব রসাতলে যায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সকল দেশের সাথেই দ্বন্দ্ব ভারতের। যা ভারতের অর্থনীতিকে চরম বিপর্যয়ে ফেলছে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে পাক-ভারত যুদ্ধের অবসান ঘটলেও, উত্তেজনা এখনো বিরাজ করছে। এর মধ্যেই আবার অরুণাচল প্রদেশ দখলের পায়তার করছে চীন, সেখানেও ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করতে হচ্ছে ভারতকে। চীনের সাথে দ্বন্দের কারণেও ভারতকে হারাতে হচ্ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে ব্যর্থ হয়েছে ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরোর ১০১ তম মহাকাশ অভিযান। রোববার শ্রীহরিকোটার মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণের পর পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল পিএসএলভি রকেটে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ব্যর্থ হয় পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট ইওএস-০৯ কক্ষপথে স্থাপনের এই ভারতীয় অভিযান। যার ফলে বেশ বড় আর্থিক ক্ষতির মুখেই পড়েছে দেশটি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ মাসে পকিস্তানের সাথে যুদ্ধ এর পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সাথে দ্বন্দ আর অন্যসব মিলিয়ে ভারতের ক্ষতি হয়েছে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। বাংলাদেশী টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৬৫ লক্ষ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা তাই মনে করছেন নরেন্দ্র মোদি যদি এভবেই দেশ চালাতে থাকেন তাহলে অচিরেই দেউলিয়া হয়ে যাবে ভারতের সাজানো গোছানো অর্থনীতি।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার