আজঃ শনিবার ৩১-০৫-২০২৫ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

ফতুল্লায় সুলতান মোল্লার সহযোগীদের ফিটিং বাণিজ্য রমরমা

Posted By Shuvo
  • আপডেটেড: বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫
  • / পঠিত : ৪ বার

ফতুল্লায় সুলতান মোল্লার সহযোগীদের ফিটিং বাণিজ্য রমরমা

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরে ফিটিং বাণিজ্যে ও চাঁদাবাজিরর অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র-সহ-সভাপতি সুলতান মোল্লা ও তার সহযোগী শহিদ মোল্লা, কালা শাহিন ও গ্রিল বাবুর বিরুদ্ধে। ৫ আগস্টের পর থেকে তাদের এসব কর্মকাণ্ড চলমান থাকলেও সম্প্রতি এক ঘটনায় স্থানীয়দের সমালোচনায় উঠে এসছেন তারা।

অভিযুক্ত সুলতান মোল্লা সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী। শহিদ মোল্লা নন্দলালপুর উত্তর মহল্লা পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদক ও কালা শাহিন এবং গ্রিল বাবু ওই এলাকার কথিত যুবদল নেতা। তারা প্রত্যেকে আবার সুলতান মোল্লার অনুসারী বলে পরিচিত।

জানা গেছে, জব্বার (ছদ্মনাম) নামে ভুইগড়ের এক ব্যাক্তি নন্দলালপুরের বাসিন্দা রুহুল আমিনের কাছে নগদ অর্থের পাওনাদার। আর্থিক সংকটে থাকা জব্বার দীর্ঘদিন তার টাকা ফেরত না পেয়ে নন্দলালপুরে বসবাসকারী তার আত্মীয় আব্দুর রহিম সুমনের (গ্রাম সরকারের ছেলে) সরনাপন্ন হন। পরে জব্বার সুমনকে সঙ্গে নিয়ে পাওনা টাকা ফেরত চাইতে রুহুল আমিন কাছে যান উত্তর নন্দলালপুরে। 

সেখানে সুমনের সাথে দেখা হয় শহিদ, কালা শাহিন ও গ্রিল বাবুর সাথে। যেহেতু তারা ওই মহল্লার বাসিন্দা তাই সুমন ব্যাপারটা তাদের জানায়। পরে তারা জব্বারের সমস্যা সমাধান করতে রুহুল আমিনকে তাদের অফিসে ডেকে আনেন। সেখানে নন্দলালপুর উত্তর মহল্লা পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হাজী মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতেই সেখানে সমাধান হয় পাওনাদার জব্বারকে ৫০ হাজার টাকা মে মাসের ২০ তারিখে ফেরত দেবে রুহুল আমিন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে জব্বার টাকা নিতে আসলেই ঘটে বিপত্তি।

এসময় সভাপতি হাজী মজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে শহিদ, কালা শাহিন, ও গ্রিল বাবু ভুক্তভোগীকে ৩০ হাজার টাকা দেয় এবং চলে যেতে বলেন। সেই সঙ্গে কথা না বাড়াতেও হুমকি দেন। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরেন ভুক্তভোগী জব্বারের আত্মীয় আব্দুর রহিম সুমন। বিচারকদের এহেন আচরণে সুমন তার আত্মীয়ের কাছে লজ্জিত হন। পরে পাওনাদার জব্বার ভয়ে মাথা নিচু করে সেখান থেকে চলে আসেন এবং শুধু বলে আসেন ‘আল্লাহ আপনাদের বিচার করবেন’।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও নন্দলালপুর সমাজ উন্নয়ন কমিটির সেক্রেটারি শহিদ, কালা শাহিন ও গ্রিল বাবুর নামে একাধিক ফিটিংবাজির অভিযোগ রয়েছে। এদের কারোই বৈধ আয়ের উৎস নেই। গ্রিল বাবু নামমাত্র একটি দোকান নিয়ে বসে থাকলেও এসবেই ব্যস্ত থাকেন সারাদিন। তারা অন্যের সমস্যা সমাধানের নামে অর্থ হাতিয়ে নেন আর তাতেই চলছে তাদের পরিবার।

সরজমিনে খোজ নিয়ে জানা গেছে, থানা বিএনপির সিনিয়র-সহ-সভাপতি সুলতান মোল্লার নেতৃত্বে নন্দলালপুর থেকে পিলকুনী পর্যন্ত প্রতিটা কারখানা থেকে প্রতি মাসে বিপুল পরিমান চাঁদা তোলেন অভিযুক্ত শহিদ, কালা শাহিন ও গ্রিল বাবু ও তাদের দল।

এলাকাবাসী সম্মানের ভয়ে এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই সুলতান মোল্লাকে নিয়ে আসেন এবং বিএনপির প্রভাব দেখান। এ ঘটনায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে নন্দলালপুর এলাকার একাধিক বাসীন্দা জানান তারা এই চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

উল্লেখ্য, সুলতান মোল্লা, শহিদ মোল্লা, কালা শাহিন ও গ্রিল বাবুদের ভয়ে ভুক্তভোগী তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। তবে ছদ্মনাম (জব্বার) ব্যাবহারে তার আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন নিজেই।

ট্যাগস :

শেয়ার নিউজ


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

© All rights reserved © "Daily SB NEWS"
Theme Developed BY Global Seba