- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
পঞ্চগড়ের কিশোরীকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচার

- আপডেটেড: রবিবার ১৫ Dec ২০২৪
- / পঠিত : ৫৫ বার
: অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর বিএসএফের হাতে আটক পঞ্চগড়ের কিশোরী প্রিয়ন্তী রায় প্রমিকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন মিথ্যাচারের প্রতিবাদসহ নিজেরা বিব্রতবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন খোদ কিশোরীর বাবা-মা। এ ছাড়াও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বলছেন, পঞ্চগড়ে তারা শান্তিতে বসবাস করছেন। এ জেলা থেকে কোনো হিন্দু পালিয়ে ভারতে যাননি।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘটনাকে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা বলে উল্লেখ করেন পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি।
জানা যায়, ভারতে আটক কিশোরী প্রমি পঞ্চগড় জেলা শহরের উত্তর জালাসি পাড়ার জয়দেব চন্দ্র রায় এবং অনুরাধা রাণী রায় দম্পতির বড় মেয়ে। গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে পড়ে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়ন্তী রায় প্রমি। বৈধ ভিসা-পাসপোর্ট না পেয়ে চোখের সমস্যায় ডাক্তার দেখাতে রাতেই আত্মীয়ের বাড়ি যেতে ভারত যায় প্রমি।
পরদিন ভোরে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় তাকে আটক করে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার চপড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে দেশটির আদালতের নির্দেশে তাকে সেফ হোমে নেওয়া হয়। প্রমির অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর একটি ভিডিও তৈরি করে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়। ওই ভিডিওর সূত্র ধরে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়।
ভিডিওতে কিশোরীর নাম বদলিয়ে প্রচার করা হয়, পঞ্চগড়ের অর্পিতার পরিবার ইসকন ভক্ত। তার বাবা ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। প্যারালাইজড রোগী। মা খুবই অসুস্থ। তারা আসতে পারবে না। বাংলাদেশ তাদের জন্য অনিরাপদ। তাই ওই নাবালিকাকে নিরাপদের জন্য ভারতের আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তবে ওই ভিডিওতে কিশোরীর কোনো বক্তব্য ছিল না।
প্রমির মা অনুরাধা রাণী রায় বলেন, ‘গত সোমবার আমার মেয়ে আমাদের কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তবে ভারতে সে কীভাবে গেলো জানি না। আমি আমার মেয়েকে আমার কাছে ফেরত চাই। আমার স্বামী কিছুদিন আগে দুবার স্ট্রোক করেছে। তবে বর্তমানে সুস্থ। মেয়েরও চোখের সমস্যা। কিন্তু ভিসা না পাওয়ায় চিকিৎসক দেখাতে পারছি না। রোববার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসেছি। আমরা মেয়েকে ফেরত চাই।’
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পরে আমি প্রমির বাড়িতে পুলিশ পাঠাই। সেখানে গিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের কোনো সত্যতা মেলেনি। আমরা তাদের এই মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার মোটেই কাম্য নয়। এখন তার বাবা-মা শোকে কাতর।’
পঞ্চগড় সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন রায় বণিক বলেন, পঞ্চগড়ে আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করছি। কিন্তু পঞ্চগড়ের জালাসী এলাকার এক কিশোরী অবৈধ উপায়ে ভারতে গেছে। এটা নিয়ে সেখানকার গণমাধ্যম মিথ্যাচার করছে। পঞ্চগড়ে কোনো হিন্দুর ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ঘটনাই ঘটেনি। কেউ পালিয়ে ভারতে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।’
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার