- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
- শিক্ষা
- স্বাস্থ্য
জানুয়ারি মাস থেকেই বিদায় নিচ্ছে শীত

- আপডেটেড: বুধবার ২২ Jan ২০২৫
- / পঠিত : ২৭ বার
এসবিনিউজবিডি ডেস্ক: চলতি জানুয়ারি মাস থেকেই বিদায় নিতে যাচ্ছে শীত! যদিও এবার পুরো মৌসুমে সেভাবে শীতের প্রকোপ অনুভূত হয়নি। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার সেভাবে শৈত্যপ্রবাহও দেখা যায়নি। প্রতিবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহে দেশের মানুষ নাস্তানাবুদ হলেও এবার তা লক্ষ্য করা যায়নি। একবারের জন্যও এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েনি দেশের মানুষ। আর আবহাওয়ার এ পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণেই।
বিশেষজ্ঞরা জানান, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের আচরণ থেকে কোনোভাবেই বেরোতে পারছে না বিশ্ব। উন্নত দেশগুলো থেকে নির্গত হওয়া গ্রিন হাউস গ্যাসের ক্ষতিকারক প্রভাবে প্রভাবিত হচ্ছে ছোট দেশগুলো। জলবায়ুর এই বিরূপ আচরণের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এর ফলেই শীতের ভরা মৌসুমে শীত কমে গেছে বলেই জানান তারা।
শীতের সার্বিক বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, আগামী কয়েকদিন শীত কম থাকবে। এরপর আবারও বাড়বে। মাসের শেষ দিকে শীত এলেও দুই থেকে তিনদিন থেকে আবার কমতে শুরু করবে। এই ধাক্কার শীতে শৈত্যপ্রবাহের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। কয়েকটা জেলায় শৈত্যপ্রবাহ হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।
তিনি বলেন, জানুয়ারির পর থেকেই আস্তে আস্তে শীত বিদায় নেবে। একমোসটোরি রিভার বর্তমানে বাংলাদেশের ওপরে বিদ্যমান আছে। এটা দেশের উত্তরাঞ্চলে থাকলে শীতের প্রকোপটা একটু কম থাকে। এজন্যই এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহও হয়নি, আবার মাঝারি শৈত্যপ্রবাহও সেভাবে লক্ষ্য করা যায়নি।
শীত কম পড়ার কারণ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের (বিডব্লিউওটি) প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেন, এই বছরটা গেছে নিউট্রাল টু লানিনা এয়ারের দিকে। সাধারণত লানিনা এয়ারের মধ্যে থাকলে শীত কম পড়ে। শীতকালে বাতাস ভূমি থেকে সাগরের দিকে যায়। কিন্তু ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্স এর কারণে ভূমি থেকে সাগরে বাতাস যাওয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে শীতকাল হওয়াটাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া কুয়াশা বেল্টের কারণেও শীত কম পড়েছে। কুয়াশা বেল্ট থাকলে উপরের দিকে ঢেকে থাকে। এর ফলে শহর বা লোকাল অঞ্চল থেকে যে গরম বাতাস বের হয়, সেটা আর উপরের দিকে যেতে পারে না। গরম বাতাস উপরে যেতে না পারার কারণে হিট ডোমের মতো কাজ করে বা কুয়াশা বেল্টে বাতাসটা আটকা থাকে। এর ফলে শক্তিশালী শৈত্য প্রবাহ তৈরি হতে পারে না। শীত অনুভূত হলেও শৈত্য প্রবাহ সেভাবে হয় না। এই কারনগুলোতেই এ বছর শীত কিছুটা কম অনুভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি আবারও একটা শৈত্য প্রবাহ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অর্থাৎ জানুয়ারি পর্যন্ত শীত থাকবে। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই আস্তে আস্তে গরমের দিকে যাবে। বিশেষ করে আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে পুরোদমে গরম পড়া শুরু করবে। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিন গরম গরম অনুভূত হলেও ভোর রাতের দিকে শীত অনুভূত হবে বলে জানান তিনি।
আবহাওয়ার এমন আচরণে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রসঙ্গে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সাবেক অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এবার শীত কম পড়েছে। আগে বাতাসের যে স্বাভাবিক গতিবিধি ছিল, যেমন শীতের সময় উত্তর দিকে থেকে আসতো, বর্ষার সময় দক্ষিণ দিকে যেত। কখন কোন দিকে যাবে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যেত। এখন থেকে দিনে দিনে ভবিষ্যতটা আরও অনিশ্চিত হবে। যেমন, আমরা এই মুহূর্তে শুনতে পাচ্ছি, আমেরিকাতে প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান শীতের কারণে বাহিরে করতে পারেনি। কারণ উত্তর মেরু থেকে প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস, একই সাথে উত্তর দিক থেকে কানাডা হয়ে আমেরিকার উত্তর দিকে হয়ে মধ্যখান হয়ে দক্ষিণ দিকে পৌঁছেছে। যেটা দক্ষিণ দিকে পৌঁছায় না। ফ্লোরিডা কিংবা জর্জিয়া গরমের জায়গা। এটা স্বাভাবিক না। আবার ক্যালিফর্নিয়াতে বৃষ্টির অভাবে আগুন লেগে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ঋতুতে যে তাপমাত্রা ছিল, বাতাসের গতিবেগ ছিল, জ¦লীয়বাষ্প যে পরিমাণ ছিল, এগুলো বদলাবে বলে জানান এ বিশেষজ্ঞ।
তিনি বলেন, পৌষ শেষ হয়ে গেছে, মাঘ এসেছে কিন্তু এখনও শীতের তেমন দেখা নাই। কিন্তু এবারের শীত এখনই পার হয়ে যেতে পারে আবার ১০ দিন পর তীব্র শীত পড়লো। এই অনিশ্চয়তা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হচ্ছে। বাতাসের মুভমেন্টা বদলে যাচ্ছে। বাতাসের মুভমেন্ট বদলে গেলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও সময় বদলে যাবে।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখান থেকে উত্তরণের কোনো উপায় নেই। পৃথিবীর গ্রিন হাউস গ্যাস উৎপাদন কমতে হবে। আর এই গ্রিন হাউস গ্যাস কমানোর মূল দায়িত্ব হচ্ছে চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর। বিশ্ব যদি এইটা সিরিয়াসলি না নেয় তাহলে আরও খারাপ অবস্থা হবে।
শেয়ার নিউজ
নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন
-
সর্বশেষ
-
পপুলার